কবিতা

ইন্দ্রদেবী

প্রতীকী ছবি

-বিপ্লব রেজা

আস্তে গো আস্তে। এতো তাড়াহুড়ো কেন?
সবকিছুতে কি তাড়াহুড়ো চলে, ঠাকুরপো!
-অমৃত পানই যদি- দীর্ঘায়ুত্ব কেন, বউঠান?
যেখানে বাহ্যতা দিয়ে অন্তর ছোঁয়ার প্রয়াস
সেখানে ধীরতা নয়, চাই চঞ্চলতা অধিক অসি’রতা।
সকল ঐশ্বর্য আমার: নারীত্বের যৌবনের সৌন্দর্যের-
চুম্বনের জোড়া লাল ওষ্ঠ থেকে কৌমার্যের শেষ প্রান্ত সবই যখন তোমার
ত্বরা কেন তবে?
তুমি তারে ধীরে ধীর সিঞ্চন করো
প্রতিদিন সারাবছর দিবসে রাতে
বিপদে সম্পদে-
গাত্র হতে তোমার প্রাণ পাত্রে, কবিতার চরণে চরণে।
-সমস্ত ইন্দ্রগুলো আজ স্বর্গের নৈসর্গিক সুখের খোঁজে যেন
খাঁচা বদ্ধপাখির মতো দাপাদাপি করছে। তোমাকে পরাজিত করতে পারলেই তারা আকাশে পাখা মেলবে।
আমার প্রশান্তির সমুদ্র প্রবাহে নতুন বউ
তুমি জল আমি তরী, আমায় আজ বাইতে দাও গো সখি। আর চুম্বন দিয়ে আরও গতি দাও তারে।
অচিন জলসমুদ্রে বিদেশিনী, এ আমার অবাধ সাঁতার!
চেনা যে বহুদিনের বহুবাঁধনে-
কৈশরের খাপ ছেড়ো যৌবনে, কবিতায়-গানে, প্রাণে-অপ্রাণে, নন্দকাননের ছাঁদে
কেন গো ব্যথা দাও তায়?
তুমি কবি নিদার্বণ নিষ্ঠুর।
শুধু কবিতার তরে কি গো কাছে আসা তোমার? এই আলিঙ্গণ?
কেন এ প্রেম নয়? শুধু…
-বউঠান, এও যে প্রেম। নিরঙ্কুশ প্রেম।
কত কাছে গেলে গো আর ‘বউঠান’ শুনতে হয় না
বলতে পার?
কাদম্বরি, আমার কাদম্বরিদেবী, হৃদয় যে তোমাতেই সপেছি, তাই
যৌবনের জীবনের সমগ্র পরমায়ু-সুখ তোমার মন্দিরের দরবারে চাই।
অনেকজনাই কাছের হয়, তবু হৃদয়ের মানুষ কয়জনা কবি?
সত্যিই ভালোবাস প্রাণাধিক?
-কেন গো তুমি আজ?…
বলতে পার, মানুষ কিভাবে বেশি দিন বাঁচে? বল না…
-হারানোজনাইতো ভাবি, হৃদয়ে স্থায়ী আসন লয়।
তাহলে আমি হারিয়ে যেতে চাই-
যেন তোমার হৃদয়তলে
একান্ত একা চিরদিন
একচ্ছত্র রাজত্ব করে যেতে পারি,
(হাসি) রবিতে রাজত্ব আমার!
একচ্ছত্র রাজত্ব।
-সে কেন?
কেন নয়?
তনু সুখ কতৰণ বাঁচে আর?
পদ্মপরাগ ঘরে যে।
-মৃণালিনী!
জোড়াসাকো কখনো বাঁধতে পারেনি আমায়;
বাজার সরকারের সামান্য পুষ্পপরাগই বেঁধেছে।
আমিতো আছি, তাই না?
তুমিতো আছই, আছ না? এইতো এখন আমার বুকের নরম…
-দুষ্টুমি হচ্ছে?
ছেড়ে দাও- উহ! লাগছে তো।

Add Comment

Click here to post a comment

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30