রকমারি

পর্ণোগ্রাফিতে তলিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব!

প্রতীকী ছবি

হ্যালোডেস্ক

পরিসংখ্যানঃ
প্রতি ১ সেকেন্ডে এই ভয়ানক জগতে যা যা হয়, তার অতি সংক্ষিপ্ত লিস্ট
* ৩,০৭৫.৬৪ ডলার ব্যয় করা হয়। যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায় ২৪৯,৬৭৪ টাকা।
কী? অবাক হচ্ছেন? পর্ণোগ্রাফির জগতে এইগুলো পানিভাত। এটা তো মাত্র ১ সেকেন্ডের হিসাব। ১ দিনের টাকার পরিমাণ কত হবে ভাবতে পারেন! হিসাবটা নিজেই করে দেখুন।
* ২৮,২৫৮ জন মানুষ পর্ন দেখে।
* ৩৭২ জন মানুষ যে word টি search engine এ সার্চ করে সেটি হলো “adult”এ তো গেলো সেকেন্ডের কথা। এখন মিনিটের কথা তুলে ধরছি।
* প্রতি ৩৯ মিনিটে ১টি পর্ণোগ্রাফিক ভিডিও তৈরি করে আমেরিকা। হ্যাঁ,
ঠিকই পড়েছেন। আমেরিকা। এবার চলুন দেখে আসি ভার্চুয়াল জগত তথা ইন্টারনেটে এই পর্ণোগ্রাফি যা মানব চরিত্র কলুষিত করছে তার অবস্থান।
* আপনি কি জানেন ইন্টারনেটের জগতে পর্ণ সাইট কয়টি আছে? না, না!
কয়টি বললে ভুল হবে। কত লাখ আছে? জেনে অবাক হবেন ৪.২ মিলিয়ন, মানে ৪২ লাখ! যার মানে ইন্টারনেটের মোট সাইটের ১২%।
সাংঘাতিক ব্যাপার, তাই না?
* ৬৮ মিলিয়ন, মানে ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দৈনিক সার্চ ইঞ্জিনে
রিকোয়েস্ট পাঠায় (মানে পর্ণ দেখতে চায়) যা মোট রিকোয়েস্টের ২৫%।
* প্রতি মাসে পর্ণোগ্রাফিক কন্টেন্ট ডাউনলোড করা হয় তার পরিমাণ
১.৫ বিলিয়ন। আর জানেন তো ১ বিলিয়ন মানে ১ এর পর ৯টা শূন্য।
যা টোটাল ডাউনলোডের ৩৫%
* ৪২.৭% ইন্টারনেট ইউজার পর্ণোগ্রাফি দেখে। যা টোটাল ইউজারের অর্ধেকের কাছাকাছি।

পর্ণোগ্রাফি থেকে কোন কোন দেশ কী পরিমাণ রাজস্ব আয় করে:
১. আমেরিকা আয় করে ১৩.৩৩ বিলিয়ন ডলার! যা দিয়ে পৃথিবীর ৩০%
মানুষের ক্ষুধা মেটানো সম্ভব।
২. জাপান আয় করে ১৯.৯৮ বিলিয়ন ডলার! যা দিয়ে পৃথিবীর ৪২% মানুষের
ক্ষুধা মেটানো সম্ভব।
৩. সাউথ কোরিয়া আয় করে ২৫.৭৩ বিলিয়ন ডলার! যা দিয়ে পৃথিবীর ৫৮%
মানুষের ক্ষুধা মেটানো সম্ভব।
৪. চায়না আয় করে ২৭.৪০ বিলিয়ন ডলার! যা দিয়ে পৃথিবীর ৬৮% মানুষের
ক্ষুধা মেটানো সম্ভব।

উপরের পরিসংখ্যান দেখে এখন আপনি হয়তো ভাবছেন আরেহ! পুরো ইন্টারনেট জগত কি পর্ণোগ্রাফিতে তলিয়ে যাবে? না, এখনও পুরোটা তলিয়ে যায়নি। তবে অর্ধেকের থেকে একটু কম কিন্তু Already তলিয়ে গেছে। তারপরও কি আপনি মুখ বুজে বসে থাকবেন?

যদি তা-ই হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আপনার কাছের আপনজন যে এই স্রোতে ভেসে যাবে না তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে? ভাবুন, আপনিও ভাবুন নিজের ঘর থেকে পুরো সমাজকে কীভাবে এর থেকে মুক্ত করা যায়।
আমার বিশ্বাস আপনি পারবেন। পুরো সমাজ না পারলেও নিজের ঘরকে তো মুক্ত রাখতে পারলেন। এতেই বা আনন্দ কম কীসের। কে জানে আপনার দেখাদেখি অন্যরাও সংশোধন হয়ে যেতে পারে। উপরের যে পরিসংখ্যান দেখেছেন, তা কিন্তু ২০০৬ সালের। এবার আরো একটু ভাবুন ২০১৯-তে এর অবস্থান কমেছে নাকি ভয়ানক গতিতে বেড়েছে, সে প্রশ্নটা আপনার সুস্থ বিবেকের কাছে রইলো।

তথ্য: ইন্টারনেট

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031