রঙঢঙ

বালিশ ও কুশনের যত্ন

হ্যালোডেস্ক

বালিশ ও কুশনে ধুলো-ময়লা জমে বেশি। আর অপরিষ্কার বালিশ কিন্তু রোগ জীবাণুর বাসা। প্রতিদিনই ঘাম, মৃতকোষ, হাঁচি বা কাশি থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া জমা হয় বালিশে। তাই বালিশের যত্ন নেওয়া এবং বালিশ পরিচ্ছন্ন রাখা একান্ত প্রয়োজনীয়।

বালিশের যত্ন
•ধুলো-ময়লা, ঘামের হাত থেকে বালিশ পরিষ্কার রাখতে চেইন দেওয়া বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে ময়লা কম হবে। চেইন দেওয়া কভার না থাকলে বালিশে দুটো কাভার ব্যবহার করুন। এতে বালিশের ফ্রেব্রিক পরিষ্কার থাকবে।
•বালিশের কভার এক সপ্তাহ অন্তর বদলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সুতির মোটা কভার বেছে নিন।
•সপ্তাহে একবার বালিশগুলো ভ্যাকুয়াম করুন। সহজে ময়লা পরিষ্কার হবে। সারারাত শোওয়ার পর অনেক সময় ঘামে বালিশ ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে ড্রায়ারে ৫-১০ মিনিট লো-হিট তাপমাত্রায় রেখে বালিশ শুকনো করে নিন।
•তুলার তৈরি বালিশ সপ্তাহে একদিন রোদে দিন। বালিশ নরম থাকবে।
•তিন-চার বছর তুলা বা বালিশ বদলে ফেলুন।
•সিনথেটিক ফাইবারে তৈরি বালিশ ঘরেই পরিষ্কার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে মাইল্ড ডিটারজেন্ট দিয়ে বালিশ পরিষ্কার করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ওয়াশিং মেশিনেও এই ধরনের বালিশ পরিষ্কার করা যায়। এজন্য প্রথমে বালিশ চেপে ভিতরের হাওয়া বের করে দিন। এবার ওয়াশিং মেশিনে বালিশ দিয়ে জেন্টল ওয়াশ সাইকেল বাটন প্রেস করুন। পরিষ্কার হওয়ার পর শুধু পানিতে বালিশগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। শেষে পানিতে ২-৩ ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে তাতে বালিশগুলো একবার ডুবিয়ে তুলে নিন। বালিশের গায়ে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ওয়াশিং মেশিনের স্পিনড্রাই করে রোদে শুকিয়ে করে নিন।
•শিশুর বালিশের কভার ধোওয়ার পর পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইড দিয়ে কভার তাতে ডুবিয়ে নিংড়ে মেলে দিন।
•একই বালিশ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। বালিশ বেশি পুরনো হয়ে গেলে ভেতরের তুললা শক্ত হয়ে যায়। বালিশ ব্যবহারের উপযুক্ত আছে কিনা তা বোঝার একটা সহজ উপায় আছে। বালিশ দু’পাশ থেকে ধরে ভাঁজ করে ছেড়ে দিন। যদি বালিশ আবার আগের আকৃতিতে ফিরে যায়, তাহলে বুঝবেন বালিশ ঠিক আছে। না হলে বুঝবেন নতুন বালিশ কেনার সময় হয়েছে।
•বালিশ স্টোর করতে হলে প্লাস্টিকের ব্যাগে বালিশ ভরে আলমারিতে রাখবেন না। তার বদলে নরম সুতির চাদরে বালিশ মুড়ে আলমারিতে বা বক্স খাটে রাখতে পারেন।

কুশনের যত্ন
•একসঙ্গে অনেক কুশন চেপে চপে জড়ো করে রাখবেন না। কুশনের ফোলাভাব কমে যাবে। কুশান দুই-তিন সেট কিনে রাখুন। মাঝেমধ্যে বদলে দিন।
•সাজানোর জন্যে ফোমের কুশন ব্যবহার করুন। সহজে নেতিয়ে পড়বে না।
•বালিশের মতো কুশনের তুলাও মাঝে মাঝে বদলান। কুশানের ফোলাভাব কমে গেলে বাড়তি তুলা ভরে নিন।
•কুশন কভারে বিডস, কাঁচ বা অ্যাপ্লেকের কাজ থাকলে ড্রাই ওয়াশ করুন। কুশন ফেদারের হলে ড্রাই ক্লিন করুন। ফেদারের কুশান ভ্যাকুয়াম ক্লিন করবেন না। এতে ফেদার নষ্ট হয়ে যাবে। পলিয়েস্টার প্যাডের তৈরি কুশন বাড়িতেই পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তাই কেনার সময় কুশনের ফিলিং কী তা ভালো করে জেনে নিন।

Add Comment

Click here to post a comment

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031