আজকের দেশ

বিজয় শব্দটি বাঙালী জাতির জন্য আনন্দদায়ক

হ্যালোডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর ২০২১


১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস

বিজয় শব্দটি সব সময়ের জন্যই আনন্দদায়ক। বিজয় শব্দটি শুনলেই খুশি খুশি লাগে। তবে সেটা যদি হয় বাংলাদেশের বিজয় দিবস তাহলে তো বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দের অনুভূতির আলোড়ন শুরু হয় হৃদয়ে। তবে বিজয় শব্দটি যতটা আনন্দের এই শব্দের পিছে লুকিয়ে আছে তার থেকে বেশি দুঃখ-দুর্দশা। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই বিজয়ী দেশকটাকে শহীদদের স্বপ্নে লালন করতে হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন পেক্ষাপটে শুরু হয় বিভিন্ন দল-সংগঠনের স্বাধীনতা বিরোধী নানা কর্মকাণ্ড। যা আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধাদের মনে লালিত স্বপ্নের বিপরীত। এমন বৈষম্য আচার-আচরণ তাদের আত্নাকে কষ্ট দেয়। আর তাই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে, বাংলাদেশের বিজয় সম্পর্কে সকলের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সঠিক তথ্য বিশ্লেষণে ও জ্ঞান আহরণে পরিপূর্ণ হোক দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়। প্রতিটি মানুষের মনে লালিত হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিজয়ের চেতনা।

৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর বিজয় ছিনিয়ে আনে মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ ঐতিহাসিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে জাতীয় ইতিহাসে বিজয় দিবস হিসেবে মর্যাদা পায় দিনটি। যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি, পেয়েছি স্বাধীনদেশ সেই শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের আত্নার শান্তির জন্য কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবেসে, দেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা সচল থাকতে হবে। তবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের শীর্ষে

প্রতিটি বাঙালির জাতীয় জীবনে একটি উজ্জ্বল দিন বিজয় দিবস। লাখো শহিদের আত্মত্যাগ, স্বজন হারানোর বেদনা ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়। এই দিনে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বীর বাঙালির কাছে পরাজয় স্বীকার করে। তাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। তাই বিজয় দিবস আমাদের আত্মমর্যাদা, বীরত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে অনেক বছর। কিন্তু বিজয় দিবসের গুরুত্ব কমেনি এতটুকু। এই দিনটির মাধ্যমেই আমরা নতুন প্রজন্মকে এবং বিশ্বকে বার বার মনে করিয়ে দিই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা, এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর কথা ও লাখো শহিদের কথা। মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশ নামে একটি দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা, যা প্রত্যেক বাঙালি তার হৃদয়ে ধারণ করে আছে।

বাংলাদেশের বিজয় দিবসের পটভূমিতে রয়েছে দুই দশকের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস। সে ইতিহাসের প্রথম মাইলফলক ভাষা আন্দোলন। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উন্মেষ ঘটেছিল বাঙালির ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনার। এই চেতনা ক্রমে বিকশিত হয়ে স্বাধিকার আন্দোলনে পরিণত হয়। ১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯- এর গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে ১৯৭১-এর ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে স্বাধিকার আন্দোলন চরম শক্তি লাভ করে। বাঙালি জাতি স্বাধীনতা আকাঙ্খায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে, অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পরেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিরোধ সংগ্রামে। ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর বিজয় ছিনিয়ে আনে মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ। করে। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ ঐতিহাসিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে জাতীয় ইতিহাসে বিজয় দিবস হিসেবে মর্যাদা পায় দিনটি। যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত হতে পেরেছি, পেয়েছি স্বাধীনদেশ সেই শহীদদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের আত্নার শান্তির জন্য কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবেসে, দেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে বঙ্গবন্ধুরর আদর্শে দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা সচল থাকতে হবে। তবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ উন্নয়নের শীর্ষে।

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031