ভ্রমন

ভ্রমণে যাবেন? যাবার আগে ও পরে কি কি করবেন

মডেল: ফারহানা রহমান তিশা

হ্যালোডেস্ক: যারা ভ্রমন পিপাসু তারা ভ্রমনকে আলাদা এক উৎসবে দেখে থাকেন। আমরা সবাই কম বেশি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ মানেই আনন্দ, মনমুগ্ধকর বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য। আমাদের মধ্যে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াটা অসম্ভব যাদের ভ্রমণ করতে ভালো লাগে না। মানুষ ভ্রমণের জন্য দেশ থেকে বিদেশে পরিভ্রমণ করেন।

ভ্রমণের বিষয়ে আমাদের সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে যাতে ভ্রমণে কোন সমস্যায় পরতে না হয়। এই জন্য জানতে হবে ভ্রমণে যাবার আগে এবং যাবার পর কি কি করবেন, আসুন জেনে নেয়া যাক ভ্রমণ সম্পর্কিত কিছু টিপস:

১. ট্যুরে সারাদিন কি করবেন তার একটি প্লান করুন। তাতে সারাদিনের সময় কিছু বাঁচবেই, সকল রকম পরিস্থিতির জন্যও আপনি মোটামুটি প্রস্তুত থাকবেন।

২. টুরিস্ট রেস্টুরেন্ট গুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যেখানে বেড়াতে গিয়েছেন সেখানে আশেপাশে ঘুরে লোকাল বসবাসকারীরা যেখানে খান সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারবেন। এতে খরচটা কমবে।

৩. একদম ভ্রমন মৌসুমে না গিয়ে একটু কম টুরিস্টের সমাগম হয় এমন সময়ে ভ্রমনে যান। গ্রীষ্মের ছুটি বা বছর শেষের শীতের বন্ধের সময়টি ভ্রমনের সব থেকে উপযুক্ত মৌসুম বলে বিবেচনা করা হয়। একদম এ সময় না গিয়ে এর কাছাকাছি কোন সময়ে যেতে পারেন। তবে ভ্রমন স্থানে অফ-সিজনে যাওয়াটা একদমই উচিত নয়।

৪. ঘুরতে যেয়ে কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার থেকে কোন দর্শনীয় স্থানে পিকনিক করতে পারেন। এতে আপনি স্থানীয় সংস্কৃতি, রীতিনীতি খুব কাছে থেকে উপলব্ধি করতে পারবেন।

৫. সাধারণত অধিকাংশ হোটেলেই কমপ্লিমেন্টারি নাস্তা/ব্রেকফাস্ট দেয়া হয়ে থাকে। এখান থেকে ভালো পরিমানে খেয়ে নিন এবং পরবর্তীতে খাওয়ার জন্যও কিছু সাথে নিয়ে নিতে পারেন।

৬. একটা শহরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য বাসই সবথেকে উত্তম পন্থা। ভ্রমনের স্থান সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে ট্যাক্সি বা রেন্ট-এ-কার এ অনেক সময় অনেক অযাচিত অবস্থায় পরতে হতে পারে।

৭. হেঁটে যাওয়া বাদ দিয়ে বাসে যাতায়াতই সব থেকে সাশ্রয়ী। আপনি যদি কোন স্থানে ভ্রমনে যেয়ে রেন্ট-এ গাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং নিজেই সে গাড়ি চালান তাহলে একটু ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন থেকে ড্রাইভ করুন।

৮. একটি দেশে ঘুরতে যেয়ে তার এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতের সময় কোন পরিবহন ব্যবহার করবেন তার ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজখবর নিন।

৯. পানির একটি বোতল সাথে রাখুন, এবং রেস্টুরেন্ট বা হোটেল থেকে এই বোতলে পানি রিফিল করে নিন। তা না হলে আপনাকে পানির বোতল কিনে খেতে হবে। এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে পানির বোতলের খরচ বাদ গেলেই দেখবেন আপনার কিছু পরিমান টাকা সাশ্রয় হয়েছে যা আপনি শপিংয়ে ব্যয় করতে পারবেন।

১০. অনেক ছোটখাটো কিন্তু অতীব প্রয়োজনীয় জিনিস আমরা ভ্রমণকালে নিতে ভুলে যাই। তা হতে পারে টুথব্রাশ, পেস্ট, শেভিং ক্রিম বা রেজার। কখনোবা ফোনের চারজার। এ ক্ষেত্রে তা কেনার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে না। হোটেলেই এইসব সামগ্রী অনেক পরিমানে থাকে। হোটেল থেকেই আপনি নামমাত্র মুল্যে প্রয়োজনীয় এরকম সামগ্রী কিনে নিতে পারেন।

১১. আপনি যদি গ্রীষ্মে কোথাও ভ্রমন করেন বা উষ্ম আবহাওয়ার কোথাও ঘুরতে যান তাহলে এমন কোন হোটেলে উঠুন যেখানে গরম-ঠাণ্ডা উভয় পানির ব্যবস্থা আছে।

১২. কোন দেশে ঘুরতে গেলে খুব সল্প সময়ে সাশ্রয়ীভাবে তাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার একটা উপায় হল, ঐ দেশিয় কোন উৎসব বা ফেস্টিভাল এ অংশগ্রহন করা। যেমন: ইন্ডিয়ার হোলি, ব্রাজিলের রিও ফেস্টিভাল, ইউএসএ তে ক্রিস্টমাস ইত্যাদি।

১৩. যদি আপনি ভ্রমনের খরচটা বাঁচানোর সাথে সাথে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে চান তাহলে ভ্রমণকারী গ্রুপে বা বন্ধুরা দলবদ্ধ হয়ে ভ্রমনে যেতে পারেন। কোন দেশে ভ্রমনের সময় একটি গ্রুপ একসাথে কিছু করলে কোন মিউজিয়াম বা থিম পার্ক ট্যুর অনেক সুলভ খরচে করতে পারবেন।

১৪. এক শহর থেকে আরেক শহর বা দূরের পথ যদি আপনি ট্রেন বা গাড়িতে করে যান, তাহলে তা অবশ্যই রাতে করুন। এতে আপনার রাতে থাকার হোটেলের খরচও বেঁচে যাবে, আবার আপনি একটু অভ্যস্ত হয়ে গেলে গাড়িতেই ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। তবে নিজের ব্যাগ ও মুল্যবান জিনিসপত্র সামলে রাখবেন।

১৫. অবশ্যই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে ওয়েবসাইটে এবং ট্যুর গাইডবুক থেকে সে স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। ট্যুরিজম ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সেখানের সম্পর্কিত হোটেল বা এয়ারলাইনে কি কি অফার চলছে তা জেনে নিন এবং দাম তুলনা করে নিন।

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031