রকমারি

স্মৃতিকথাঃ ঈদের সালামী

ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা

-জিসান জয়া

অল্প ক’দিন পরই ঈদ। বাচ্চারা ঈদী বা সালামি পাবে এই আশায় আছে। যারযার ব্যক্তিগত পার্সের দিকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। গেলোবারের টাকাপয়সা কিছু কিছু খরচ করে কত বাকি আছে সেই হিসাব কষছে।

ঈদীর প্রচলন কবে কিভাবে শুরু হয়েছে আমি ঠিক জানি না। তবে আমিও ঈদের সকালে প্রতিবেশী সমবয়সীদের সঙ্গে বের হতাম এটা মনে আছে।

আমার মেয়েরা আমার কাছ থেকেও সালামি পায়। ব্যাংকার বাবার একমাত্র এবং চিফ একাউন্টেন্ট মায়ের কাছ থেকে তারা নতুন চকচকে ছোট বড় নোট পায়। পরিমাণে খুব বেশি না তবে যা পায় তাতেই তারা মহাখুশি।

এছাড়া সারাবছর মায়ের সাথে ঘরের কাজ করে দেয়ার জন্য টুকটাক আয় তাদের হয়। (সব কাজের জন্য আবার দেই না। স্পেশাল কিছু কাজের জন্য দেই। সব কাজের জন্য দিলে আবার মাথায় উঠবে। দিনকাল যা হয়েছে! মেলা ক্যালকুলেট করতে হয় সবকিছুতেই)

এতো দিন এই টাকা এমনিতেই দিলেও গতবছর থেকে অন্য চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজের বিনিময়ে মজুরি দিয়েছি। এটা তারা জানতো না অবশ্য। এখন বলেছি।

এখন বলেছি, এতদিন যা জমিয়েছো তা থেকে যে যা পারো কিছু দান কর। একশো পঞ্চাশ যা ইচ্ছা৷ রোজার মধ্যে দান করলে সোয়াব পাবে। তাছাড়া যারা সারাবছর তোমাকে সাহায্য করেছে তাদেরকে এখন তোমরা সাহায্য কর। এই হিসাবে বাসার সাহায্যকারী খালা এবং ড্রাইভার আংকেলের কথা বলেছি। হাসিমুখে মেয়েরা রাজি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

আসলে বাচ্চাদেরকে শেখাতে চেয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টা। আয় করবে আর শুধু নিজের জন্য ব্যয় করবে তা যেন না হয়। আর ছোটবেলা থেকে এগুলো না শিখলে বড় হয়ে স্বার্থপর ছাড়া আর কিছু হয় না নিঃসন্দেহে। আর বাবা মা যদি না শেখায় বাচ্চারা শিখবে কিভাবে?

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30