ভ্রমন

ভ্রমণ হোক গরমে

হ্যালোটুডে

২০ অক্টোবর ২০২১


গরম কাল। তাপমাত্রার পরিমাণও বেশ। এর মধ্যেও যদি ২ থেকে ৭ দিনের ছুটিতে যদি দেশের মধ্যে কোথাও ঘুরে আসতে চান তাহলে এখনি প্লান করুন।

কোথায় যাবেন?
গরমের জন্য ভালো ভ্রমণ হলো সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশে সমুদ্র সৈকতের অভাব নেই। কাছাকাছি যেতে চাইলে চট্টগ্রাম শহরের অদূরে পতেঙ্গা ও পারকির চর। দুরে যেতে চাইলে কুয়াকাটা কিংবা কক্সবাজার আর নিরিবিলি কোনো সৈকত ভ্রমণ করতে চাইলে যেতে পারেন সুন্দরবন আর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ। এডভেঞ্চার ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাখালী কিংবা নিঝুম দ্বীপ সেক্ষেত্রে প্রখর রোদ আর যেকোনো সময় আবহাওয়া বদলে যাওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখুন।

যারা এত দুরে যেতে চান না। তারা নদীর কুলে ঘুরে আসতে পারেন। মেঘনার পাড়ে আড়াইহাজারে কিংভা রুপগঞ্জে। এছাড়া যেতে পারেন হাওরে যেখানে এখন পানি টুইটুম্বর খুব বেশী পাহাড় ডিঙাতে না হলে ঝর্ণার কাছেও যেতে পারেন। ঝর্নার শীতল জল আপনাকে প্রশান্তি দিতে পারে।

গ্রামের বাড়ি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। খেয়ে আসতে পারেন গাছের পাকা ফল। সেই সাথে গ্রামীণ আবহাওয়ায় মিশে যেতে পারেন কিছু দিনের জন্য।

কখন যাবেন
ছুটির দিনের সাথে মিলিয়ে প্লান করতে পারেন। কারণ এখন খুব একটা ভিড় নেউ কোথাও। তবে ছুটির দিনে আপনার মতোই গরমের বিরক্তি কাটাতে কিছু লোক সমুদ্র সৈকতে ভিড় করছে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদ দিতে পারলেও ক্ষতি নেই। রাতে ভ্রমণ করলে ভালো। তবে ২/৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে কিনা খবর নিয়ে বের হোন। সম্ভব হলে আবহাওয়া অফিসে ফোন করুন। বৃস্টি হলে কি সফর বাদ দেবেন। না তা নয় বৃষ্টি হলে জাষ্ট ছাতা রেইনকোর্ট কিংবা অন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। শিশুদের ঘুম ও বাথরুমের ব্যাপারগুলো মাথায় রাখুন।

গোছগাছ ও প্রস্তুতি
এসময় ভ্রমনে গেলে অবশ্যই হালকা ও সূতি কাপড় পরবেন। রঙীন কাপড় এর বদলে সাদাকালো পড়বেন তাতে তাপ কম লাগবে। রোদ চশমা ক্যাপ ও ছাতা রাখতে পারেন। রোদের ফাঁকেও বৃষ্টি হতে পারে। তবে আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য সবচেয়ে কাজের জিনিস হলো গামছা। গামছা দিয়ে আপনি রোদ থেকে বাঁচতে মাথা ঢাকতে পারবেন, গরমে ঘাম মুছতে পারবেন। বৃষ্টির পানি থেকে মাথা বাঁচাতে পারবেন, গামছা পরে গোসল করতে পারবেন। প্রয়োজনে কোমরে বাঁধতে পারবেন, চুলের পানি নিতে পারবেন। আরো কত কি? সানক্রিম নিতে পারেন কারণ রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। একাধিক সেট জামা নিতে পারেন কারণ জলের কাছে গেলে আপনার জলকেলীর উচ্চা জাগতে পারে। মানে পানিতে নামতে পারেন। সাথে পেট খারাপের ওষধ, বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন রাখতে ভুলবেন না। সঙ্গে রাখুন ট্যালকম কিংবা পিকলী হিট পাউডার। ভাব নিতে গেলে অনেক ব্রান্ড আছে। শিশুর শরীর, জামা, গাম কিংবা ঘামাছি উঠলো কিনা খেয়াল করুন। বাইরে থেকে ঘুরে এসে একবার গোসল করিয়ে নিন। এসময়ে দিনে ২ বার গোসল করলেও ক্ষতি নেই। অনেক সময় ঘামে গা ভিজে ঠান্ডা লেগে সার্দি কাশি হয় সেজন্য সতর্ক থাকুন।

সতর্কতা
যেখানে যাবেন আগে থেকে খবর নিয়ে যাবেন। হোটেল রেস্তরা ও গাড়ি পর্যাপ্ত আছে কিনা। অফ সিজনে অনেক জায়গায় এগুলো থাকেনা। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর এলাকাগুলোতে। এডভেঞ্চারাস কোনো ভ্রমনে শিশুদের নেবেন না। শিশুরা ভয় পেতে পারে।

খাবার খেতে চুজি হবেন। তৈলাক্ত, মসলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়া গরুর মাংশ, হাসের গোশত, ইলিশ মাছ, চিংড়ী, ফ্যাটি কোনো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মাংশ না খেলেই ভালো। শুধু শাক সব্জি খেতে পারলে আরো ভালো। খাবার স্যালাইন, ঠান্ডা পানি, ডাবের পানি, গ্যাস ও পেট খারাপের ওষধ সাথে রাখবেন। বেশী গরমে ডিহাইড্রেশান হতে পারে। পানি ও খাবার নিয়মিত খাবেন পরিমিত পরিমানে। শিশু ও বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখুন। বেশী হাঁটা বা খাড়ি বাইতে হবে এ ধরনের স্পটে না যাওয়াই ভালো। শিশুকে হালকা ও ঠান্ডা খাবার দেবেন। আইসক্রিম দই, ডাবের পানি এসব খেতে পারেন।

মডেল: মিম নুপুর

ফেসবুক পেজ

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2024
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031