আজকের দেশ

তপন বাগচীর পাশে দাঁড়ালেন ২০ জন কবি-লেখক

তপন বাগচী

হ্যালোডেস্ক

৩১ জানুয়ারি ২০২৪


খ্যাতিমান ফোকলোরবিদ ড. তপন বাগচীর সম্পাদনাগ্রন্থ ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ নিয়ে দুই ব্যক্তি সাংবাদিক সম্মেলন করে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা তপন বাগচীর নামে অপপ্রচার চালিয়ে এ বছর ঘোষিত ফোকলোর বিভাগে পাওয়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। এমন সংবাদ চোখে পড়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, বিস্মিত ও হতবাক।

আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, ড. তপন বাগচী সম্পাদিত ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ গ্রন্থের সঙ্গে অভিযোগকারী ওই দুই ব্যক্তির সম্পাদিত গ্রন্থের কোনো মিল নেই। এমনকি গ্রন্থের প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র এবং গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের ছেলে শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ভূমিকাও সাক্ষ্য দেয় যে, এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এ গ্রন্থের স্বত্বও মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে রয়েছে।

আমরা নিশ্চিত হয়ে বলছি যে, ড. তপন বাগচী একটি গানও নিজের বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকার। তাদের এই দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং অনৈতিক। এর সূত্র ধরে এ বছর ঘোষিত তপন বাগচীর প্রাপ্ত পুরস্কার বাতিলের দাবি হাস্যকর, অবান্তর ও অনভিপ্রেত। আমরা জানি, বাংলা একাডেমি কোনো নির্দিষ্ট গ্রন্থের ওপর পুরস্কার দেয় না। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয় কোনো লেখকের সামগ্রিক রচনাকর্মের ওপর ভিত্তি করে। সে হিসেবে ‘বাংলাদেশের যাত্রাগান: জনমাধ্যম ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত’, ‘লোকগানের খোঁজে’, ‘লালন মতুয়া লোকসংগীত অন্বেষণ’, ‘লোকসংস্কৃতির কতিপয় পাঠ’ গ্রন্থগুলোই তাঁর ফোকলোরচর্চার প্রমাণ বহন করে।

আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ড. তপন বাগচী একজন পরিশ্রমী ও গুণী গবেষক। তাঁকে ফোকলোর বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় আমরা বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031