রকমারি

পুরুষ তিমির মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্ত্রী তিমির আত্নহত্যা

হ্যালোডেস্ক।।  কক্সবাজারে কয়েকদিন আগে দুটো মৃত তিমি ভেসে এলো না? বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এরা কাপল। পুরুষ তিমিটি হয়তো বড় কোন জাহাজের ধাক্কায় মারা গেছে। এই শোক সইতে না পেরে স্ত্রী তিমিটিও আত্মহত্যা করেছে।

তিমি খুবই অনুভূতি সম্পন্ন প্রাণী। তিমির বুদ্ধিও আছে। এরা কখনো একা চলে না। জোড় বেঁধে চলে। সঙ্গীর মৃত্যু হলে তিমি যখন একা হয়ে যায় তখন সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

সঙ্গীর মৃত্যু হলে তিমির আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্বে প্রচুর। এরা দল বেঁধে চলতে ভালবাসে। একজনের বিপদ হলে সবাই ঝাপিয়ে পড়ে। দলের জন্য অনায়েসে নিজের জীবন দিয়ে দেয়।

কয়েক বছর আগে নিউজিল্যান্ডে এক দিনে প্রায় ৩শ তিমি আত্মহত্যা করেছিল। এরা সমুদ্রের তীরে উঠে আসে। মানুষ অনেক চেষ্টা করেও তাদের সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে পারেনি।

ভারতের তামিল নাড়ুতে প্রায় ১০০টি তিমি তীরে এসে আটকে গিয়েছিল। জেলেরা অনেকগুলোকে অনেক চেষ্টা করে ঠেলে সমুদ্রে পাঠালেও তারা আবার ফিরে আসে। রাতে সমুদ্রে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসার পর সকালে উঠে দেখে সবগুলো আবার ফিরে এসে তীরে মরে পড়ে আছে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করে, কোন তিমি যদি তীরে উঠে বালুতে আটকে যায় তখন সমুদ্রে একটি সিগন্যাল পাঠায়। তাকে বাঁচাতে তখন ঝাকে ঝাকে তিমি এসে নিজেরাও আটকে যায়। জেলেরা ধরে নিয়ে তাদেরকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলেও সঙ্গীকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বারবার ফিরে আসতে থাকে।

ব্লুহোয়েল (নীল তিমি) নামে একটা গেম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। যে গেমটা মানুষকে আত্মহত্যা পর্যন্ত নিয়ে যায়। এই হলো গেমটির নাম করণের সার্থকতা।

মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণীর মধ্যে অভিনয় নেই, ছলনা নেই, বিশ্বাস ঘাতকতা নেই। তারা যেটা করে সঙ্গীর জন্য, দলের জন্য ডেস্পারেটলি করে। কারণ তাদের বুদ্ধি কম। ছলনা করার মতো বুদ্ধি নেই তাদের। ওরা সেলফি তুলে নেতাকে খুশি করার চেষ্টা করে না। মুখে হাসি দিয়ে অন্তরে ঘৃণা পুষে রাখার মতো ক্ষমতা তাদের নেই।

মানুষ নিজেদের মরার জন্য যে পরিমান অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে অন্য প্রাণী মারতে তেমন নেই। কোন প্রাণী নিজেদের ক্ষুধা নিবারণ ছাড়া অন্য প্রাণীকে মারে না। নিজের শক্তি জাহির করতে কাউকে পেটায় না। তারপরও নাকি আমরাই সৃষ্টির সেরা জীব।

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031