স্বাস্থ্যসৌন্দর্য

নিয়ম করে হাটুন : সুস্থ থাকুন

মডেল: এমিলা হক

হ্যালোডেস্ক

নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট রাখার জন্য হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে শরীরের বাড়তি মেদ কমে যায় নিশ্চিতভাবে। তবে প্রতিটি বিষয়েরই যেমন নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। হাঁটাহাঁটির ক্ষেত্রেও এসব নিয়ম প্রযোজ্য। তাই হাঁটার সময় আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী। এই নিয়মাবলী মেনে চললে একদিকে যেমন হাঁটতে ক্লান্তি আসবে না তেমনি অন্যদিকে হাঁটার ছন্দও থাকবে অটুট। তবে হাঁটতে হবে নিয়ম মেনে। যেমন-

•ঘুম থেকে উঠেই হাঁটা দেবেন না। ফ্রেশ হয়ে পানি পান করে রিল্যাক্স মুডে হাটুন।
•ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস করুন। মর্নিং ওয়াক-এ একা যাবেন না। স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে হাটুন। দেখবেন দু’জনে এক সাথে হাঁটলে এক ঘেয়ে লাগবে না। একজোট হয়ে ক’বন্ধু মিলেও হাটতে পারেন।
•প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটুন কম করে ৮ সপ্তাহ হাঁটার পর ফল পাবেন।
•খুব বেশি কর্ম ব্যস্ত যারা নিয়ম করে আধ ঘন্টা হাঁটা যাদের জন্য কষ্ট কর, তারা জিমে ৩-৪বার ১০ মিনিট হাঁটুন।
•অফিসে কফি ব্রেকে বা লাঞ্চ ব্রেকে সিটে বসে না থেকে করিডোরেও হাঁটতে পারেন। বাইরে খেতে গেলে গাড়ি একটু দূরে পার্ক করুন। এ সুযোগেও কিছু হাঁটা হয়ে যাবে।
•প্রতিদিন খাতায় লিখে রাখুন কখন, কার সঙ্গে, কতদূর হাঁটলেন।
•প্রতিদিন হাঁটার পর ভাবুন হেঁটে আপনি কতটা ভাল আছেন। আপনার চেহারার কতটা উন্নতি হয়েছে।
•ওয়াকিং ক্লাবের সদস্য হতে পারেন। অনেক সঙ্গী সাথী পাবেন হাঁটার জন্য।
•প্রথম ৬ মাস নিয়মিত হাঁটার জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন। এর জন্য নির্দিষ্ট একটা প্ল্যান করুন।
•একদিন হাঁটা সম্ভব না হলে পরের দিন পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করুন। অন্তত ১০ মিনিট বেশি হাটুন।
•সকাল বেলা হাঁটার সময় না পেলে দিনের যে কোনও সময় হাঁটতে পারেন।
•বাড়িতে যতটা সম্ভব হাঁটতে চেষ্টা করুন। হাঁটা শেষ করে টিভি, এসি অন করুন।
•হাঁটার সময় রিল্যাক্স থাকুন। পজিটিভ বিষয়ে ভাবুন। অথবা গান গাওয়া, গান শোনা, কবিতা, আবৃত্তি করতে পারেন। প্রতিদিন একই জায়গায় না হেঁটে রাস্তা বদল করুন। ছুটির দিনে স্বাস্থ্যকর স্থানে হাঁটার চেষ্টা করুন।
•আবহাওয়া খারাপ হলে বারান্দায় অথবা ঘেরা ছাদে হাঁটতে পারেন। ফ্ল্যাটে হলে প্রতিটি রুমে একবার করে হাঁটা দিন। হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সাথে সাথে পানি পান করবেন না। ২-৫ মিনিট রিল্যাক্স করুন। এরপর পানি খান।
•ধীরে ধীরে হাঁটার স্পিড বাড়ান।
•হাঁটতে গিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হলে অল্প অল্প বিশ্রাম নিন।
•মা-বাবা, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির পক্ষে পার্কে যাওয়া সম্ভব না হলে ছাদে হাঁটতে বলুন। হাঁটার জন্য উৎসাহিত করুন।
•হাঁটতে গিয়ে শিরায় টান লাগলে, অসুস্থ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
•যারা হার্টের রোগ, মৃগী রোগের জন্য ওষুধ খান, তাদের রোদে বের হলে দ্রুত ফটো পিগমেন্টেশন সম্ভাবনা থাকে। তাই সানক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।
•হাঁটার আগে এবং পরে ওয়ার্ম আপ এবং কুল ডাউন এক্সারজাইজ করুন। ওয়ার্ম আপে ক’বার এক জায়গায় লাফিয়ে নিন। কুল ডাউনে হাঁটা শেষে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ২ বার নিশ্বাস নিন।
•হাঁটার সময় পায়ের সাথে হাতও সচল রাখুন।

তথ্যসূত্র: ইনকিলাব

ফেসবুক পেজ

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031