তরঙ্গটুডে

ভারত নিয়ে প্রশ্ন, রেগে গেলেন জয়া আহসান!

ফাইল ছবি

হ্যালোডেস্ক

করোনা সংক্রমণের মাঝে গত সোমবার এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে বাংলাদেশে। বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চডুবিতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তারকা অভিনেত্রী জয়া আহসান।

জয়ার সে পোস্টে চাঁদ সুলতানা মিথিলা নামে একজন করেছেন অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য। কমেন্টে তিনি লিখেন, ‘ইন্ডিয়া থেকে পানি এসে দেশ ডুবিয়ে দিচ্ছে, সেটা নিয়া কিছু বলেন। আপনার প্রাণপ্রিয় দেশ দাদাদের দেশ নিয়া তো কিছু বলতে শুনলাম না। সারাদিন এত তাদের ভালো ভালো পোস্ট দেন এখন চুপ কেন?’ এছাড়া হিমালয় হিমু নামের একজন অশ্লীল ভাষায় জয়া ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টায় আছেন বলে মন্তব্য করেন। শোকাবহ একটি স্ট্যাটাসে এমন উদ্ভট মন্তব্য দেখে রেগে যান জয়া।

তিনি কমেন্টে লিখেন, ‘আচ্ছা!! ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টায় ছিলাম? তাই নাকি? আদৌ বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পায় নাকি? আমি তো এত বছর সেখানে গিয়ে কাজ করছি, আবার চলে আসছি। আমিতো জানি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ওখানে বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পায় না। আমিতো চেষ্টাও করিনি কোনোদিন। কারণ আমি বাংলাদেশি হিসেবে গর্বিত। তাই অন্য কোনো দেশের নাগরিক হবার সেই চিন্তাটাও আমার মাথায় আসেনি। তবে আপনার লেখাটা দেখে মনে হলো আপনি মনে হয় ভারতীয় নাগরিকত্ব নেবার চেষ্টা করেছিলেন, তাই না? কিন্তু আফসোস!! হালে পানি পাননি। আর আম্ফানে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বড় স্ট্যাটাস ছিল? একটু পেছনে গিয়ে সেই পোস্ট টা দেখে নিন তো, ঠিক কটা লাইন লিখেছিলাম। হিমালয় হিমু নাম টা ব্যবহার করছেন। হুমায়ূন স্যার- এর লেখা এত প্রিয় একটা চরিত্র। তো সেই নাম ব্যবহার করে বাংলাতে এত কাঁচা হলে চলবে? একটু ভালো করে পড়াটা শিখতে হবে তো নাকি!!

‘আর চাঁদ সুলতানা মিথিলা, আমার মনে হয় শেষ লাইনটা পড়ে দেখেননি। মানেটাও বোঝেননি। তাছাড়া আমার লেখা আপনাকে পড়ার জন্য মাথার দায়ও কেউ দেয়নি বলেই আমার বিশ্বাস। তো সানন্দে এগুলো ইগনোর করতে পারেন। আর যদি এতই লেখার ইচ্ছা হয় তো নিজের টাইমলাইন-এ লিখুন না। আমাদের দেশের অসুবিধা নিয়ে, সমস্যা নিয়ে যত আমরা সোচ্চার হবো ততই তো আমাদের দেশের ভালো নাকি!! আমাকে গালাগালি বা বাজে কথা লিখে অনেক সুখ হয়তো পাওয়া যায়। কিন্তু এই কষ্ট টা একটু দেশের মঙ্গলের জন্য করলে ভালো হয়না? অন্তত ফেসবুক-এ লিখেও তো একজনের জন্য হলেও তো সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।’

ফেসবুক পেজ

আর্কাইভ

ক্যালেন্ডার

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031